বাংলাদেশ সরকারের দেশের প্রশাসন পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদেশি আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষা এবং জনকল্যাণমূলক বহুবিধ কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। এই অর্থ সংস্থানের জন্য সরকারকে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থ আয় করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের সম্ভাব্য সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণীকে বাজেট বলে । আর এসব বিষয়ের আলোচনা সরকারি অর্থব্যবস্থায় হয়ে থাকে ।
জামান সাবান কেনার জন্য দোকানে যায়। একটি সাবান হাতে নিয়ে দেখে সাবানের মোড়কে মূল্য ২২ + VAT টাকা লেখা। সে বিক্রেতার কাছে VAT সম্পর্কে জানতে চাইলে বিক্রেতা বলে কোন দ্রব্য উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে যে মূল্য সংযোজিত হয় তার ওপর নির্দিষ্ট হারের আরোপিত কর হচ্ছে VAT।
রাজন বাংলাদেশে বাস করে। এ দেশের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি বাজেট উপস্থাপন করেন । এই বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে।
অর্থনীতির যে শাখায় সরকারের আয়, ব্যয় ও বর্ণসংক্রান্ত বিষয়াবলি আলোচনা হয়, তাকে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলে। একটি দেশের জনসাধারণের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সরকার কোন কোন খাতে, কীভাবে, কোন নীতিতে যার করবে, তা সরকারি অর্থব্যবস্থার আলোচনা করা হয়। সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য কীভাবে, কোন কোন উৎস হতে আয় করবে অথবা কোন টকা থেকে কতটুকু ঋণ গ্রহণ করবে, তা সরকারি অর্থব্যবস্থার আলোচনা করা হয়।
১০.২ বাংলাদেশ সরকারের আরের উৎসসমূহ
বাংলাদেশ একটি নিম্নমধ্যম আরের দেশ। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা, দেশ রক্ষা ইত্যাদি কাজে সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে। এই ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে বিভিন্ন উৎস হতে যার সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস প্রধানত দুটি। যথা- ক) কর রাজা খ) করবহির্ভূত রাজ
ক) কর রাজস্ব (Tax Revenue) সরকার জনগণের নিকট হতে বাধ্যতামূলকভাবে যে অৰ্থ আদায় করে কিন্তু ान বमরে म সরকার থেকে সরাসরি বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা আশা করতে পারে না, তাকে কর বলে। সরকার দেশের নিবাসী বা অনিবাসী ব্যক্তি, বিভিন্ন ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং পণ্যের উপর যে কর ধার্য করে, তা থেকে প্রাপ্ত আরকে কর রাজস্ব বলা হয় ।
সরকারের কর রাজস্বের উৎসসমূহ হলো-
১. আর ও মুনাফার উপর কর (Taxes on Income and Profit)
কোনো ব্যক্তির না কোম্পানির পালের উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আয়কর বলে। বাংলাদেশ সরকারের আারের একটি অন্যতম উৎস হলো আয়কর। বর্তমানে বাংলাদেশে কোম্পানি ি করদাতা যাদের বার্ষিক নীট আর ২,৫০,০০০ টাকা (পুরুষদের ক্ষেত্রে)। ৩,০০,০০০ টাকা (মহিলাদের এবং ৬৫ বছর বা অঘোর্য বছরের পুরুষের ক্ষেতে): ৩,৭৫,০০০ টাকা (প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে) এবং ৪,২৫,০০০ টাকা এর অধিক (মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে) তাদের আয়ের উপর এ কর ধার্য করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির মুনাফার উপর কর ধার্য করা হয়।
২. মুল্য সংযোজন কর (Value Added Tax)
অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশে ১৯৯১-৯২ অর্থবছর থেকে মূল্য সংযোজন কর চালু করা হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে কাঁচামাল থেকে করে চূড়ায় দ্রব্য উৎপাদন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ক্রম করতে হয়। উৎপাদনের এরূপ বিভিন্ন স্তরে যে মূল্য সংযোজিত হয় তার উপর একটি নির্দি যারে যে কর আরোপ করা হয়, তাকে মূল্য সংযোজন কর (Value Added Tax VAT) বলে,বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং বিভিন্ন সেবা খাতের উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে । ভবিষ্যতে এ খাতের আওতা আরও সম্প্রসারিত করা হবে ।
৩. আমদানি শুল্ক (Custom Duties)
বাংলাদেশে সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস হলো আমদানি শুল্ক । দেশের আমদানিকৃত দ্রব্যের ও সেবার উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আমদানি শুল্ক বলে ।
৪. আবগারি শুল্ক (Excise Duties)
দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আবগারি শুল্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয় । বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয় ।
৫. সম্পূরক শুল্ক (Supplementary Duties) বিভিন্ন কারণে সরকার অনেক দ্রব্যসামগ্রীর উপর আবগারি শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর বা আমদানি শুল্ক আরোপের পরেও অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করে, তাকে সম্পূরক শুল্ক বলে। যেমন, সিরামিক টাইলসের উপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ।
৬. অন্যান্য কর ও শুল্ক ( Other Taxes and Duties)
উপরের শুল্ক ও করের মূল পাঁচটি উৎস ছাড়াও আরও কিছু কর ও শুল্ক থেকে সরকার আয় সংগ্রহ করে । যেমন : সম্পত্তি কর, পেট্রোল ও গ্যাসের উপর কর, বিদেশ ভ্রমণ কর, প্রমোদ কর ইত্যাদি।
৭. মাদক শুল্ক (Narcotics and Liquor Duty )
মাদকজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্যের উপর সরকার শুল্ক বসিয়ে অর্থ আয় করে থাকে। এর মাধ্যমে সরকারের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে সামাজিক কল্যাণ বৃদ্ধি পায় ৷
৮. যানবাহন কর (Tax on Vehicles)
বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের উপর যে কর দেওয়া হয়, তাকে যানবাহন কর বলে। এ খাত থেকে সরকার প্রতিবছর অনেক অর্থ আয় করে থাকে ।
৯. ভূমি উন্নয়ন কর (Land Development Tax)
ভূমির মালিকানা ও ভোগদখলের জন্য ভূমির মালিক সরকারকে যে খাজনা দেয়, তাকে ভূমি রাজস্ব বলে । বাংলাদেশ সরকার ভূমির উপর উন্নয়ন কর আরোপ করেছে ।
১০. নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (Non-Judicial Stamp )
দলিলপত্র ও মামলা-মোকদ্দমার আবেদনপত্র ব্যবহারের জন্য নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহৃত হয় । এ খাত হতে সরকার প্রতিবছর অনেক অর্থ আয় করে ।
খ) করবহির্ভূত রাজস্ব (Non-Tax Revenue)
সরকার কর ও শুল্ক ছাড়া আরও অনেক উৎস হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে । এই উৎসগুলো থেকে অর্জিত রাজস্বকে করবহির্ভূত রাজস্ব বলে ।
সরকারের করবহির্ভূত রাজস্বের উৎসসমূহ হলো-
১. লভ্যাংশ ও মুনাফা (Dividend and Profit) সরকার তার মালিকানাধীন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেমন- ব্যাংক, বিমা কোম্পানি এবং অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান (যেমন- রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান, পার্ক, চিড়িয়াখানা) থেকে বছরান্তে লভ্যাংশ ও মুনাফা পেয়ে থাকে ।
২. সুদ (Interest) সরকার, সরকারি কর্মচারী, বিভিন্ন আর্থিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে । প্রদত্ত ঋণের সুদ হিসেবে সরকার প্রতিবছর কিছু অর্থ আয় করে থাকে ।
৩. প্রশাসনিক ফিস (Administrative Fees )
সরকার জনগণকে প্রশাসনিক সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফি আদায় করে থাকে । যেমন- কোর্ট ফিস ।
৪. জরিমানা, দণ্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ (Fine, Penalty and Confiscation) দেশের আইন ও নিয়মনীতি পরিপন্থী বিভিন্ন কাজের জন্য সরকার জরিমানা, দণ্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ করে প্রতিবছর কিছু অর্থ আয় করে থাকে ।
৫. অর্থনৈতিক সেবা (Economic Services) সরকার তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা জনগণকে সেবা প্রদান করে থাকে। এ সেবাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমদানি-রপ্তানি আইনের আওতায় প্রাপ্ত ফিস, বাণিজ্য সংস্থা ও কোম্পানিসমূহ হতে প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন ফিস, বিমা আইনের আওতায় প্রাপ্তি ও সমবায় সমিতিসমূহের অডিট ফিস, সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন ফিস ইত্যাদি ।
৬. ভাড়া ও ইজারা (Rent and Lease)
সরকারি বিভিন্ন সম্পত্তি ভাড়া ও ইজারা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর অনেক অর্থ আয় করে থাকে । যেমন : হাট, ঘাট।
৭. টোল ও লেভি (Toll and Levy)
বিভিন্ন সেতু থেকে টোল ও লেভি আদায় বাবদ সরকার কিছু অর্থ আয় করে থাকে । যেমন : সেতুর জন্য টোল আদায়।
৮. অ-বাণিজ্যিক বিক্রয় (Non Commercial Sales)
সরকার জনগণের কল্যাণে কোনো কোনো সময় বিনা লাভে অনেক দ্রব্য বিক্রয় করে থাকে । যেমন : ও.এম.এস বা খোলা বাজার বিক্রয় নীতি ।
১) রেলওয়ে ( Railway)
বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীবহন ও দ্রব্যসামগ্রী পরিবহনের ভাড়া বাবদ আয় করে। রেলওরে সেবাকে সম্প্রসারণ, আধুনিকায়নের ফলে বর্তমানে এ খাতে মুনাফার পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
১০) ডাক বিভাগ (Postal Department)
বাংলাদেশের ডাক বিভাগ সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় বিধায় এটি সরকারের আয়ের একটি উৎস। ডাক
বিভাগ বহুমুখী সেবা প্রদান করার ফলে ২০০১-০২ সাল হতে এ খাতে আয় প্রবাহ কিছুটা বৃদ্ধি পায় ।
উপরে উল্লিখিত বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসসমূহ থেকে প্রাপ্ত আয়ের পরিমাণ যথেষ্ট নয় । তাই প্রতিবছর সরকারকে ব্যয় নির্বাহের জন্য বিদেশি ঋণ, সাহায্য, দান, অনুদান এসবের উপর নির্ভর করতে হয়।
বাংলাদেশ একটি নিম্নমধ্যম আয়ের জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশ রক্ষা ও পরিচালনা এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রতিবছর সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে । গণতন্ত্রের উন্মেষ ও উন্নয়নের ফলে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেক নতুন নতুন খাতও ব্যয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ।
বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাতসমূহ
১. শিক্ষা ও প্রযুক্তি
সরকার মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মান উন্নয়ন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে বৃত্তিসংখ্যা ও হার বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষার প্রসারে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। শিক্ষার সাথে প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে।
দেশকে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে রক্ষার জন্য যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম ক্রয়, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ, বেতন ভাতা, বাসস্থান ও চিকিৎসা প্রভৃতি প্রদানের জন্য সরকার এ খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এ খাতে অনেক ব্যয় বরাদ্দ অপ্রকাশিত থাকে।
৩. জনপ্রশাসন
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকারকে জনপ্রশাসন পরিচালনা করতে হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োজিত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং অফিস পরিচালনা বাবদ সরকারকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।
৪. জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য আখা সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে ও পরিচালনা করতে এবং তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাবদ সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
৫. কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প ও কৃষি গবেষণা
বাংলাদেশ সরকার কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি এবং ঋণ বিতরণ করছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ সরকার প্রথম কৃষি গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেছে।
৬. জনস্বাস্থ্য
জনগণের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান, মহামারী প্রতিরোধ, ডাক্তার ও নার্সের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি খাতে সরকারকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন এবং সেখানে একজন করে এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যার ফলে এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭. সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ
অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনধারণের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশ সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচী, যেমন : বয়স্কভাতা কর্মসূচি, বিধবাভাতা, এসিডদগ্ধ নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতা, প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক কারণে সৃষ্ট সাময়িক বেকারত্ব নিরসন, তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়ন তহবিল এবং বাস্তুহারা গৃহায়ণ তহবিল, একশ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি, একটি বাড়ি একটি খামার এবং গরিব-দুস্থদের মাঝে রেশনিং কাজে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে ।৮. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন বৃদ্ধিকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন তহবিল গঠন প্রভৃতি খাতে প্রতিবছর সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
৯. পরিবহন ও যোগাযোগ
বাংলাদেশের যাতায়াত, যোগাযোগ ও পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার যোগাযোগ, সড়ক, রেলপথ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে এবং সেতু বিভাগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ।
১০. দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান
'ন্যাশনাল সার্ভিস' প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দুই বছরের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বল্প শিক্ষিত, কর্মঠ ও বেকার যুবকদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নানারূপ কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (টিআর), খয়রাতি সাহায্য (জিআর), ভিজিএফ ও ভিজিডি বাবদ প্রতিবছর ১০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক খাদ্যশস্য বিতরণ করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করছে । এসব খাতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
১১. ঋণ ও সুদ পরিশোধ
সরকার দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস হতে প্রচুর পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করে। এসব ঋণ এবং ঋণের সুদ পরিশোধ করতে সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
১২. শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবাসমূহ
দেশের শিল্প এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সেবা খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার এই ব্যয় করে থাকে । ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পুন-অর্থায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
১৩. পরিবেশ ও বন
পরিবেশ সংরক্ষণ-মানোন্নয়ন, শিল্পদূষণ থেকে রক্ষা, তরল বর্জ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ইত্যাদি নানামুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য সরকার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ ব্যয় করে ।
১৪. বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম
সরকার দেশের তথ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে প্রতিবছর অনেক অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
১৫. স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন
স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় ।
উল্লিখিত খাতগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার আরও কয়েকটি খাতে ব্যয় করে, যেমন- মহিলা ও শিশু, পানিসম্পদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, গৃহায়ণ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব বা অনুন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ প্রায় ৫৫টি খাতে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর প্রায় ১৮টি খাতে ব্যয় করে থাকে । আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র ধারণার আলোকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে, অনুন্নয়নমূলক খাতে সরকারি ব্যয় হ্রাস করে উন্নয়নমূলক খাতে সরকারি ব্যয়ের পরিধি আরও প্রসারিত করা উচিত ।
বাজেট বলতে আয় ও ব্যয়ের সুবিন্যস্ত হিসাবকে বোঝায়। ব্যক্তি তার বিভিন্ন উৎস থেকে যে আয় পায় তা কীভাবে ব্যয় করে তা যদি সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো হয়, তা হবে ব্যক্তিগত বাজেট । একইভাবে সরকারের কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে বিভিন্ন উৎস থেকে কতটুকু আয় প্রাপ্তির আশা করে এবং বিভিন্ন খাতে কী পরিমাণ ব্যয় করতে চায়, তার সুবিন্যস্ত হিসাবকে সরকারি বাজেট বলে । বাংলাদেশে আর্থিক বছর হলো জুলাই থেকে জুন ।
বাজেট হলো সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। বাজেটে যেমন সরকারের রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন ঘটে, তেমনি দেশের অর্থনীতির চিত্র ফুটে ওঠে । বাজেটে কেবল সরকারি সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাবই থাকে না বরং আয় ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকে । যেমন- আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে কীভাবে ঘাটতি পূরণ হবে এবং ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হলে সে উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে কী করা হবে ইত্যাদি বিষয়ও বাজেটে লিপিবদ্ধ থাকে । বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন করে জাতীয় সংসদে অনুমোদন নিতে হয় এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে সরকারের নির্ধারিত আয়-ব্যয় ও তার পদ্ধতি কার্যকর হয় ।
বাজেটের প্রকারভেদ
চলতি বাজেট (Current Budget)
যে বাজেটে সরকারের চলতি আয় ও চলতি ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়, তাকে চলতি বাজেট বলে । و চলতি আয় সংগৃহীত হয় কর রাজস্ব ও করবহির্ভূত রাজস্ব হতে । কর রাজস্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মূল্য সংযোজন কর, আয়কর, সম্পত্তি কর ও ভূমি রাজস্ব ইত্যাদি । করবহির্ভূত রাজস্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও মুনাফা, ঋণের সুদ ইত্যাদি । বাজেটের এ অর্থ ব্যয় হয় সরকারের প্রশাসনিক কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দেশ রক্ষার জন্য । এ বাজেটের ব্যয়ের খাতগুলো যেমন- শিক্ষা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । যেহেতু এ খাতগুলো অপরিবর্তিত থাকে, তাই প্রতিবছর বাজেটে এ ব্যয়ের পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয় । চলতি বাজেট সাধারণত উদ্বৃত্ত থাকে ।
মূলধন বাজেট (Capital Budget)
সরকারের মূলধন আয় ও ব্যয়ের হিসাব যে বাজেটে দেখানো হয় তাকে মূলধন বা বাজেট উন্নয়ন বলে । এ বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশের ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা । এ লক্ষ্যে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় উৎস হতে অর্থসংস্থান করে । অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস হলো- রাজস্ব উদ্বৃত্ত, বেসরকারি সঞ্চয় ব্যাংক ঋণ ও অতিরিক্ত কর ধার্য করা ইত্যাদি । আর বৈদেশিক আয়ের উৎস হলো- বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক অনুদান ইত্যাদি । বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়- কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মহিলা ও যুব উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ, পল্লি উন্নয়ন ও গৃহায়ণ ইত্যাদি খাতে সরকার ব্যয় করে থাকে। এ বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন ।
আয়-ব্যয়ের ভারসাম্যের দিক থেকে বাজেটকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করা যায় :
১. সুষম বাজেট (Balanced Budget)
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সরকারের প্রত্যাশিত আয় এবং সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ সমান হলে তাকে সুষম বাজেট বলে । এ বাজেটে আয়ের সাথে সংগতি রেখে ব্যয় করা হয় বলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যের দাম দ্রুত বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম থাকে, যার ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে । তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেকারত্ব দূর করতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে এবং জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করতে এটি সহায়ক নয় ।
সূত্র :সুষম বাজেটে = মোট আয় মোট ব্যয় = ০ হয়।
অর্থাৎ, মোট আয় = মোট ব্যয় ।
২. অসম বাজেট (Unbalanced Budget)
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বা আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় এবং সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ সমান না হলে তাকে অসম বাজেট বলে । সরকারের আয় ও ব্যয়ের অসমতার দিক থেকে অসম বাজেটকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) উদ্বৃত্ত বাজেট (Surplus Budget)
খ) ঘাটতি বাজেট (Deficit Budget)
ক) উদ্বৃত্ত বাজেট (Surplus Budget)
কোনো আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ কম হলে, তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে । অর্থাৎ, এ বাজেটে ব্যয় অপেক্ষা আয়ের পরিমাণ বেশি ।
সূত্র : উদ্বৃত্ত বাজেটে = (মোট আয় - মোট ব্যয়) > ০ হয়।
অর্থাৎ মোট আয় > মোট ব্যয়
খ) ঘাটতি বাজেট (Deficit Budget)
কোনো আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হলে তাকে ঘাটতি বাজেট বলে । সরকার বাজেটের এ ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে জনসাধারণের কাছ থেকে ঋণ, নতুন অর্থ সৃষ্টি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান গ্রহণ করে ।
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন মঙ্গলজনক । তবে অতিরিক্ত নতুন অর্থ/মুদ্রা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়বৈষম্য দেখা দিতে পারে ।
সূত্র : ঘাটতি বাজেটে = (মোট আয় - মোট ব্যয়) < ০ হয়। অর্থাৎ, মোট আয় < মোট ব্যয় ।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের আর্থিক বছর জুলাই-জুন । প্রতিবছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে পরবর্তী বছরের খসড়া বাজেট উপস্থাপন করেন, যা আলোচনা, সমালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংযোজন ও বিয়োজনের পর উক্ত মাসেই মহান সংসদে চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয় ।
আমাদের দেশে বাজেটকে সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করে উপস্থাপন করা হয় । যথা-
১) অ-উন্নয়ন বাজেট বা চলতি বাজেট।
২) উন্নয়ন বাজেট বা মূলধন বাজেট ।
১) অ-উন্নয়ন বাজেট (Non-Development Budget)
বাজেটের যে অংশে সরকারের দৈনন্দিন বা চিরাচরিত আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয় এবং বাজেটের ব্যয়ের খাতসমূহ সরাসরি উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তাকে অ-উন্নয়ন বাজেট বলে । এ বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশ রক্ষা এবং দেশের প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা । অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বিষয় এ বাজেটে উল্লেখ থাকে না ।
অ-উন্নয়ন বাজেটের আয় সংগৃহীত হয় মূলত কর ও করবহির্ভূত রাজস্ব হতে । আয়ের উৎসগুলো নিম্নরূপ :
২) উন্নয়ন বাজেট (Development Budget)
বাজেটের যে অংশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়, তাকে উন্নয়নমূলক বা মূলধন বাজেট বলে । এ বাজেটে বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণও সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ এবং অর্থসংস্থানের উৎসের বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে । উন্নয়ন বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো পরিকল্পিত উপায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন । তাই প্রতিবছর নতুন নতুন কর্মসূচি হাতে নিতে হয় ।
উন্নয়ন বাজেটের আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাতসমূহ ;
এ বাজেট প্রধানত দুটি অংশ রয়েছে। যথা- অনুন্নয়ন বাজেট ও উন্নয়ন বাজেট। আয় ব্যয়ের ভারসাম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান বাজেট হলো ঘাটতি বাজেট ।
Read more